
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান (৩৫) কে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় দেলোয়ার বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান নড়িয়া উপজেলার ঘরিষার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামের হাজী আ: রশিদ দেওয়ানের ছেলে। তিনি নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকালে দেলোয়রে হোসেন দেওয়ান ব্যবসার কাজে ঘড়িষার ইউনিয়নের চর লাউলানী নদীর পাড়ে গেলে হঠাৎ করে চর লাউলানী গ্রামের আনসার মাঝির (৩০) নেতৃত্বে ছোবার মাঝী (৩৮), ছাব্বির মাঝি (১৯), জুয়েল সরদার (২১), শাকিল বেপারী (২০), স্বপন খাঁ (২০), দেলোয়ার ফকির (৩৩)সহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রড ও বাঁশ দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটাতে থাকে এবং রক্তাক্ত যখম করে। তখন দেলোয়ার মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হত্যার হুমকি দিয়ে যায় তারা। দেলোয়ারের সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা এবং গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুরতর আহত অবস্থায় দেলোয়ারকে স্থানীয়রা নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় দেলোয়ার বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন দেওয়ানের বড় ভাই রাজ্জাক মাষ্টার বলেন, সন্ত্রাসী আনসার মাঝিদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। তবে তা মিমাংসা হয়ে যায়। তারপরও আমার ভাই দেলোয়ার হোসেনকে আনসার মাঝি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। গত রোববার ছোট ভাইকে একা পেয়ে রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এদিকে আনসার মাঝি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা দেলোয়ারের উপর হামলা করেছে আমার জানা নাই। আমাদের মিথ্যা অভিযোগ চাপাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঘরিষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, দেলোয়ারকে মারধর করেছে শুনেছি। যারা মারধর করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিৎ।
নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি আবু বকর মাতব্বর বলেন, দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে ।