
গোসাইরহাট প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গ্রহণে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এছাড়া ৯টি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা এবং আরও তিনটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরাজিত নৌকার প্রার্থী।
২৪ মার্চ রোববার শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নৌকা প্রতীকের সৈয়দ নাসির উদ্দিনকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমান আনারস মার্কা নিয়ে বিজয়ী হন।
কিন্তু এই ভোটের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিসহ প্রার্থী সৈয়দ নাছির উদ্দিনের সমর্থকরা। মঙ্গলবার সকালে কোদালপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা ভোট পুনরায় নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ।
তাদের অভিযোগ- প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট গ্রহণে সম্পৃক্তরা ৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে অনিয়ম করেছেন। ৯ টি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টকে বের করে দিয়ে ভোট গণনায় অনিয়ম করা হয়েছে এবং তিনটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজশে ভোট কেটে নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।
একই অভিযোগে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত প্রার্থী সৈয়দ নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, অনিয়মের বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েও কোন ফল পাইনি। তিনি বিষয়টি আমলে নেন নি। তিনি আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
গোসাইরহাট উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে পরাজিত প্রার্থী সৈয়দ নাসির উদ্দিন আমার কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কিছু করার নেই।