আজ রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরীয়তপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শেফালী আক্তারকে (২০) হত্যার দায়ে স্বামী ফারুক খলিফাকে (৩০) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার সময় শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচার আ. ছালাম খান এ আদেশ দেন।
আদালত ও মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে ফারুক খলিফার সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে সেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর পর ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে যৌতুকের জন্য স্ত্রী শেফালীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে ফারুক। এতে শেফালীর গলার ঢোর কেটে এবং সে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনার পরদিন ২৭ ডিসেম্বর শেফালীর বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে শেফালীর স্বামী ফারুক খলিফা, ফারুকের বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে আসামী করে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১১ মাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শেফালী আক্তার মারা গেলে ওই মামলাটি ১১ (ক)/৩০ ধারায় হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার (২৭ মার্চ) মামলার রায় প্রদান করেন বিচারক। এই রায়ে মামলার ১নং আসামী ফারুক ফলিফার ফাঁসি ও ফারুকের বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এ্যাড. মির্জা হজরত আলী এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. ফজলুর রহমান।

পিপি এ্যাড. মির্জা হজরত আলী বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী ও সমস্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী মাামলার ১নং আসামী ফারুক খলিফা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। বাকী দুই আসামী ফারুকের বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে খালাস দেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।