
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে নড়িয়াবাসীকে পদ্মার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা। এ ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সার্বক্ষনিক খোঁজখবর রাখছেন। পদ্মা নদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ গ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া মুলফৎগঞ্জ উপজেলা স্বস্থ্যকমপ্লেক্সে আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, পদ্মার ভাঙনের শিকার নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স চিকিৎসা উপযোগি করে গড়ে তোলা তোলার জন্য যা যা করা দরকার আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে তাই করা হবে। অচিরেই পঞ্চাশ শয্যা হাসপাতালের জন্য যে জনবল ও সামগ্রী প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। আমাদের ন্যায্য পাওয়ানা থেকে একচুল পরিমাণও আমরা বঞ্চিত হতে চাইনা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্যে করে উপমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যখন যা প্রয়োজন হবে আমাকে বলবেন। ওষুধের প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন, অনেক বড় বড় হাসপাতালের মালিক আমার বন্ধু। আমি চেষ্টা করলে এনে দিতে পারবো। কিন্তু এক দিনের জন্যও নড়িয়াবাসীকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাজটিও আমরা নড়িয়াতেই করতে যাচ্ছি। আর সেটা হলো সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মার দূর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুতের আলো পৌছে দেওয়া। শেখ হাসিনার বদৌলতে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে কিভাবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দূর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুতের আলো পৌছে যায় তা অচিরেই বিশ^বাসী দেখতে পাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনীর আহম্মদ খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায়, নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আখন্দ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার হাসান আলী রাড়ী, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, সখিপুর হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ ও নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।