
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শরীয়তপুরে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে র্যালিটি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবাহান, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে সংক্ষিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের ও সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে জনগণকে স্বস্থ্য সচেতন হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে স্বস্থ্য সচেতন হতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য্ই সম্পদ, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একটি সুস্থ্য জাতিই পারে একটি উন্নত রাষ্ট্র উপহার দিতে। দেশের মানুষ সুস্থ্য থাকলে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে স্বাস্থ সেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের শরীয়তপুরে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। পরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
“স্বাস্থ্য সেবা অধিকার শেখ হাসিনার অঙ্গিকার” এই শ্লোগানে ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালিত হবে। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগ বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেক্টরে অগ্রগতি বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান, বর্ণাঢ্য র্যালী, স্বাস্থ্য সচেতনা, পুষ্টি, ও খাদ্য বিষয়ক আলোচনা সভা, সেবা গ্রহিতাদের সাথে মতবিনিময় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা, স্কুল হেল্থ প্রোগ্রাম পরিদর্শন, চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা, অটিজম ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রদান, অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা ও সমাপনী অনুষ্ঠান।