আজ শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ায় বিয়ের ৩ মাস না যেতেই স্বামীর হাতে রিয়া খুন!!

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চান্দনি গ্রামের রিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুকে ঢাকায় নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হারুন সরদার (২৮) এর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে টানা ১০ দিন নিখোঁজের পর রিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেছে পরিবারের সদস্যারা। গতকাল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে রিয়ার লাশ হিসাবে শনাক্ত করে তার পরিবার।
নিহত রিয়া আক্তার (২৫) নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে রিয়া আক্তারের সাথে বিঝারী ইউনিয়নের সেকেন্দার সরদারের ছেলে (ঘাতক) হারুন সরদারের সাথে বিয়ে হয় ফেব্রুয়ারী মাসে এরপর থেকে তাদের সংসার ভালই চলছিল। গত (৮ এপ্রিল) হঠাৎ শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামী হারুন কাজের সন্ধানে রিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বস্তিতে বাসা ভাড়া নেয় তারা। বাসা ভাড়া নেওয়ার পরে রিয়ার সাথে তার পরিবারের যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে রিয়াকে না পেয়ে (১৬ এপ্রিল) নড়িয়া থানায় একটি জিডি করেন রিয়ার পরিবার।
নিহতের পিতা মজিদ শেখ জানান, ১০ দিন মেয়ের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। এ কারণে থানায় গিয়ে জিডি করেন তিনি। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শরীয়তপুরের একটি মেয়ের লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে আমরা ঢাকায় গিয়ে হাসপাতালের মর্গ থেকে রিয়ার লাশ শনাক্ত করি। পরে জানতে পারি (১১ এপ্রিল) রিয়াকে হাত পায়ের রগ কেটে ওর স্বামী হত্যা করেছে। হত্যার ৩দিন পর (১৩ এপ্রিল) বস্তির ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে মোহাম্মপপুর থানা পুলিশ। রিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী হারুনের ফাঁসি চেয়েছেন নিহতের পরিবার।
এ ঘটনায় ঘাতক হারুনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের সকলে পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।- সুত্র: দৈনিক রুদ্রবার্তা