
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কখনো ভারী বৃষ্টি আবার কখনও গুঁড়ি বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শরীয়তপুর জেলায় শুক্রবার ও শনিবার (৪ মে) সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ওই অঞ্চলের মানুষ।
জেলায় ঝড়ে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা রোধে শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি তার ফেসবুক পেজে বিশেষ সতর্কতা কথা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যেকোনো মুহূর্তে বাংলাদেশে আঘাত হানবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, সকলে সতর্ক থাকুন- নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, মোমবাতি, ম্যাচসহ অতি প্রয়োজনীয় জিনিস ঘরে রাখুন। এই দুর্যোগকালীন সময়ে পালং-জাজিরা বাসীর পাশে আমি সার্বক্ষণিক আছি, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে- সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন, আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার।
ইতোমধ্যেই পালং-জাজিরার প্রতিটি ইউনিটের আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকার জন্য। এছাড়া সারা দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে আছে। সকলের সহযোগিতায় আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে এই তিনটি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন:
১। +৮৮০১৭৩১৮৫০৯৩৪ ২। +৮৮০১৯১৪৯৫২০২০ ৩। +৮৮০১৭১২২২১২৭৯
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার সময়, আবহাওয়া বার্তায় জানা গেছে যে ঘূর্ণিঝড় ফণী কলকাতা থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে আঘাত আনতে পারে এবং তা দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে ভরতে প্রবেশ করতে পারে।
কিন্তু তার কিছু মুহূর্ত পরই ঘূর্ণিঝড় ফণী তার গতিপথ পরিবর্তন করে দেশের অভ্যন্তরে মৃদু আঘাত আনতে পারে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে চলে যেতে পারে।
শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে শরীয়তপুর বাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। যদিও ৬ এবং ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত শরীয়তপুরে দেখানো হয়নি, তবুও সকাল থেকে গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।