আজ শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন শরীয়তপুর

ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে প্রায় ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো শরীয়তপুর। শুক্রবার (৩ মে) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে এ জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শনিবার বিকাল ৩টার সময় আসে বিদ্যুৎ। এছাড়া ফণির কারণে শরীয়তপুরের অভ্যন্তরীন নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কাঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া নৌরুটে শুক্রবার দুপুর থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অপর দিকে শরীয়তপুরের ইব্রাহিমপুর ও চাঁদপুরের হরিণাঘাট নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। নৌদূর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছ লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল। এছাড়া শরীয়তপুর-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ফণির কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শরীয়তপুরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।
ফণি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার আওতাধীন সকল সরকারী বেসকারী, এনজিও সহ সকল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ ও ছুটির অনুমতি প্রদান না করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল নাগরিকদেরকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। টর্চ লাইট, মোবাইল ফোন, খাওয়ার স্যালাইন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, বৃদ্ধদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা, বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ হাতের নাগালে রাখার জন্য জনসাধারণকে বলা হয়েছে। জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। ফনি মোকাবেলায় প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তারা ফণি মোকাবেলায় নজরদারীতের রয়েছেন। ফণির কারণে এ পর্যন্ত জেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফণির কারণে হালকা বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাসাতে তীব্র দাপদাহে অতিষ্ট জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।