
চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশে চাঁদাবাজির অভিযোগে শরীয়তপুরের তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর হায়দার শাওনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া তিন পুলিশ সদস্যরা হলেন, এটিএ এসআই মো. কুদ্দুস, ডিএসআই গোলাম মোস্তফা ও ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল সুব্রত। শুক্রবার (১০ মে) তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এদেরে বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আংগারিয়া থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত ৩৫ কলোমিটার সড়কের ৫ থেকে ৮টি পয়েন্টে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি গাড়ির চালক ও মালিকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ হওয়ার পর তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তদন্তে আরও কেউ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ যানবাহন যাতায়াত করে। সেই সঙ্গে জেলার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় রয়েছে আরও ৫ শতাধিক পরিবহন। অভিযোগ রয়েছে, শরীয়তপুরের আংগারিয়া থেকে নরহিসংপুর ৩৫ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৮টি পয়েন্টে দীর্ঘদিন যাবত গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে পুলিশ।
আংগারিয়া বাজার, মনোহার বাজার, হিন্দুপাড়া স্কুল মোড়, রুদ্রকর, বুড়িরহাট, ভেদরগঞ্জ সহ প্রায় ৮টি পয়েন্টে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিলো গাড়ির চালাক ও মালিকরা। দিন রাত পুলিশের চাদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। চালকদের অভিযোগ ছোট পিকআপ ও ট্রাক প্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং বড় ট্রাক প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় পুলিশকে। আবার এককালিন মাসিক চাঁদা দিলে পাওয়া যায় বিশেষ স্টিকার। চাঁদা দিলে গাড়ির কাগজ না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। আর চাঁদা না দিলে গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক থাকলেও গাড়ি আটকে হয়রানী করা হয় বলে চালকের অভিযোগ উঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।