আজ মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৭

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ভোলাই মুন্সিকান্দি ও শাকিম আলি মাদবরকান্দি গ্রামের মন্টু ও এমদাদের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সেনেরচর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- রাসেল মাদবর (২৫), জালু মাদবর (৬৫), জুয়েল ব্যাপারী (২৭), জিল্লু মুন্সি (২৬), নুরুল হক মাদবর (৬৫), আব্দুল করিম মাদবর (২৮), বাবু মাদবর (৩০), খবির মাদবর (৪৫), আওলাদ মাদবর (২২), শিপন মাদবর (৩০), জসিম খালাসি (৫০), ইমন মাদবর (২০), টিটু সরদার (২৫), ফারুক সরদার (৩৫), সালাম সরদার (৬৫), পারভেজ মাদবর (২০) ও রিপন মাদবর (৩৫)।

স্থানীয়রা জানায়, জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামের মন্টু ব্যাপারীর সঙ্গে শাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামের এমদাদ মাদবর গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল।

বিরোধের ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। এরই সূত্র ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও ইট নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামের মন্টু ব্যাপারী বলেন, এমদাদ মাদবরের নির্দেশে সকালে তার লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়, বাড়িতে ভাঙচুর করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের হামলায় আমার লোকজন আহত হয়।

শাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামের এমদাদ মাদবরের পক্ষে মাস্টার আব্দুল করিম মিয়া বলেন, আমাদের লোকজন সকালে যে যার কাজ করছিল। হঠাৎ মন্টু ব্যাপারী লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের ১৪ জন লোক গুরুতর আহত হয়। আমরা এ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কয়েকজনকে রেখে বাকিদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠাতে বলেছি।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি।