
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদী থেকে মেহেদী হাসান (১০) নামের এক শিশুর পেটকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১০ আগষ্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মশুরা ইটভাটা এলাকায় কীর্তিনাশা নদী থেকে এ লাশ উদ্ধার করে নড়িয়া থানা পুলিশ। নিহত মেহেদী হাসান জপসা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আজহার মাদবরের ছেলে এবং মশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ হতে নড়িয়া থানায় জিডি করা হয়। সোমবার দুপুর ১টার দিকে মশুরা ইটভাটা এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে স্থানীয় লোকজন একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করে।
নিহত মেহেদী হাসানের চাচা শাজাহান মাদবর জানান, গতকাল রবিবার বেলা ১১ টা হতে মেহেদীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে নড়িয়া থানায় জিডি করি। আজ সকালে জেলেরা মাছ ধরার সময় মেহেদীকে নদীতে ভাসতে দেখে চিৎকার করে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মেহেদীর পেটকাটা লাশ নদীতে দেখতে পাই। পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে মশুরা এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের পেট কাটা ও মুখ থেতলানো রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা ধারনা করছি পূর্বশত্রুতার জের ধরে কেউ খুন করে শিশুর লাশটি গুম করার চেষ্টা করছিলো। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।