আজ শনিবার, ৩০শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আলেমদের সহযোগীতায় জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন দেশের আলেম ওলামাগণ সহযোগীতা করলে দেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। জঙ্গীবাদ সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করা গেলে দেশে থেকে জঙ্গীবাদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।

রোববার বেলা ০২টায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ওলামা-মাশায়েখ ফোরাম, শরীয়তপুরের যৌথ আয়োজনে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উপস্থিত আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত দেশ গড়তে আপনাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ইমামরা মসজিদগুলোতে শুক্রবার জুমার দিনের খুতবায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করলে সাধারণ জনগন সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। যে যেখানে সুযোগ পায়, সেখানেই সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য প্রদান করার আহবান জানান মন্ত্রী।

তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয় বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের (বাংলাদেশ) অনেকেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে অবস্থান নেয়। ১৯৭৮, ১৯৯২, ২০১৬ সালে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছেন। এখন ২০১৭ সালেও তারা ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ আমরা যদি খেতে দিতে পারি, তাহলে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদেরও খেতে দিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার একর জমিতে এসব রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। রোহিঙ্গাদের কষ্ট দেখে প্রধান মন্ত্রী ছুটে গেছেন বৃদ্ধ মহিলা, শিশুদের কান্না দেখে প্রধানমন্ত্রীও কেঁদেছেন।

সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম।

আইজিপি তার বক্তব্যে বলেন, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া (বরং বড় ঘরের সন্তানেরা) জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। তাই সমাজের অন্যায়-অবিচার প্রতিরোধের জন্য আলেম ওলামাদের সাহায্য প্রয়োজন।

শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাতিত্বে সমাবেশে
আরো বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৭) অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল আইজি মোহা: শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, ভোজেশ্বর ঐতিহাসিক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা শওকত আলী ও আংগারিয়া কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী সিকদার, পিপি মির্জা হজরত আলী, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন মাঝি, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রারি, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান হাওলাদার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক সরদার, জেলা যুবলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধান আলোচক বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএমসহ বিশেষ অতিথিদেরকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।