আজ শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ার রিনা হত্যাকারীর ফাঁসির দাবী!!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের রিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে ঢাকায় নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হারুন সরদারের (২৮) বিরুদ্ধে। তাই রিনা হত্যাকারী স্বামী হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে রিনার পরিবার ও ভোজেশ্বর ইউনিয়নবাসী। মানববন্ধনে মেহেদীর রং না মুছতে অকালে ঝড়ে গেল রিনা, কি অপরাধ ছিল রিনার? রক্ত পিপাসু হারুনের বিচার চাই, রিনাকে নিশংসভাবে হত্যাকারীর ফাঁসি চাই কাগজে লিখা ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।

মানববন্ধনে নিহত রিনার ভাই উজ্জল শেখ ও স্মারকলিপি সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারী উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের সেকেন্দার সরদারের ছেলে হারুন সরদারের সঙ্গে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে রিনা আক্তারের বিয়ে হয়।

গত ৮ এপ্রিল হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে রিনাকে নিয়ে ঢাকায় যায় হারুন। পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বস্তিতে বাসা ভাড়া নেয় তারা। বাসা ভাড়া নেয়ার পর রিনার সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ১৬ এপ্রিল নড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। গত ১১ এপ্রিল রিনার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যার দুইদিন পর (১৩ এপ্রিল) বস্তির ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে হারুনসহ তার পরিবারের সবাই পলাতক। রিনার বোন হোসনে আরা বলেন, আমার বোনকে হারুন হত্যা করেছে। কিন্তু হত্যাকারীকে এখনো আটক করতে পারে নি। হারুনকে আটক করে ফাঁসি দেয়া হোক। তাহলে আমার বোনের আত্মায় শান্তি পাবে। মানববন্ধনে ফারুক শিকদার বলেন, রিনাকে আত্মগোপন করে রেখে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই প্রশাসনিকভাবে যেন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যাতে রিনার মতো আর কোন রিনা হত্যা না হয়। তাই রিনার হত্যাকারীর ফাঁসি হোক।

এ সময় রিনার ভাই ইমরান শেখ, সুজন শেখ, বোন রুমা আক্তার, ফুফাতো ভাই আব্দুল করিম শেখ, চান্দনি গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ খাঁন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।