আজ মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার : শরীয়তপুরে ২০ জেলের কারাদন্ড

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের অপরাধে নড়িয়া উপজেলায় ১৪ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৬ জেলেকে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নড়িয়া উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। বিকাল ৩টায় ভেদরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ ৬ জনকে কারাদন্ড প্রদান করেন।
জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার নৌপুলিশ, থানা পুলিশ ও মৎস্য বিভিাগ একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১৪ জেলেকে আটক এবং ২৬ হাজার মিটার অবৈধ কারেন জাল ও ১০৭ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
পরে ১০টায় নির্বাহী মেজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির এর নেতৃত্বে উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। গ্রেফতারকৃত ১৪ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ এর নেতৃত্বে শনিবার দিনভর পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬ জেলেকে আকট করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এর আগে দুইদিনে ভেরদগঞ্জে ইলিশ শিকারের অপরাধে ১৮ জেলেকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, সরকারের নির্দেশ মত আমরা ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট আছি। ৩০ অক্টোবরের একদিন আগেও কাউকে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান প্রতি দিন নিয়মিত চলবে। আইন অমান্যকারীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী এতিম খানায় বিতরণ ও কারেন জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ইলিশ রক্ষায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।