আজ বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বেরীবাধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে নড়িয়ায় মানববন্ধন

ইলিয়াছ মাহমুদ ॥ জাজিরা-নড়িয়া পদ্মার ডান তীর সংরক্ষন ও নদী শাসন প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন এবং আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরুর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নড়িয়া উপজেলার পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী। শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নড়িয়া উপজেলা চত্তরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ শত শত সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে।

বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আলী বেপারী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বি এম মুনির হোসেন, মহসিন ঢালী, মাষ্টার কে এম ওবায়দুল হক, মাষ্টার সাইদুল হক মুন্নাহ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নড়িয়া-জাজিরা উপজেলা বহু বছর ধরে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে দুটি উপজেলা শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আমরা ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে বহু আন্দোলন সংগ্রামের ফলে গত ০২ জানুয়ারী একনেক সভায় বেরীবাধ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাধ নির্মান করা না হলে নড়িয়া পৌর বাজার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবী, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বাধ নির্মাণ করা হোক।

প্রসঙ্গত গত দুই বছরে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার প্রায় ৭ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ৮ হাজার বসত বাড়ি, ১৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ১ কিলোমিটার সুরেশ্বর রক্ষা বাধ, ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫৫ মসজিদ মাদরাসা সহ প্রায় ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার সম্পদ। এ ক্ষতি এড়াতে জাজিরা-নড়িয়া পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গত ২ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ ও চর ড্রেজিং করা হবে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এ প্রকল্পের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। শুস্ক মৌসুমে বাধ নির্মান করা না গেলে আগামী বর্ষায় নড়িয়া উপজেলা সদর বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেরীবাধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা