আজ মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ায় অপহরণের ৩দিন পর কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার, আটক ২

শরিয়তপুর নড়িয়া উপজেলার নিতিরা থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় মাকে মারধর করে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কে অপহরনের অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মেয়ের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৪,০৯.১৭) সকালে নড়িয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ফারজানা আক্তার মিম তার মায়ের সাথে ঢাকা যাবার পথে উপজেলার নিতিরা নামক স্থান থেকে নিতিরা গ্রামের আনিছ উদ্দিন ফকিরের ছেলে জাকির হোসেন ফকির (৩০) ও রাজ্জাক ফকিরের ছেলে আসলাম ফকির (২৯) সহ কয়েক যুবক মিমের মাকে মারধর করে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঐ দিনই অপহিৃতার বাবা নড়িয়া থানায় একটি অপহরন মামলা করেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তৎপর হয়ে জাকির হোসেনকে আটক করে পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ, সেই সাথে একই এলাকা থেকে অপহরনকারী আসলাম ফকিরকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাদেরকে নড়িয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং মঙ্গলবার আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

এদিকে এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে স্থানীয় সংবাদকর্মিরা নড়িয়া থানায় গেলে, অপহরনকারীদের আত্বীয় পরিচয়ে জনৈক হান্নান ফকির সংবাদ কর্মিদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে। তিনি বলেন আমরা সকল সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে দিয়ে সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছি। কি দেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক আমাদের কাছ থেকে সংবাদ না করার শর্তে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বলেছে, সকলের দায়ীত্ব আমাদের কেউ কোন নিউজ করবেনা। আপনারা আবার কেন এসেছেন আপনাদের ভাগের টাকাওতো দেয়া হয়েছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারে তৎপর হয়, এবং প্রথমে জাকির হোসেনকে আটক করি এবং তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকার বাড্ডা থানার বসুন্ধরা এলাকা থেকে বাড্ডা পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করি। এসময় আসলাম নামে এক অপহরনকারীকে আটক করা হয়।

-সুত্রঃ bd21news