
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমানের যাত্রীদের মধ্যে বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ ফয়সালের (২৮) মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নিহত আহমেদ ফয়সাল শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ফয়সাল বড়। তিনি বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধানমন্ত্রী বিটের সাংবাদিক ছিলেন।
এছাড়া ফয়সাল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) স্থায়ী সদস্য ছিলেন। তিনি পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (পিআইআরএফ) যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন।
নিহতের খালাতো ভাই মো. জাকির হোসেন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে ফয়সাল নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ খবর জানাজানি হলে সোমবার রাতে ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম খবর নেন এবং আহমেদ ফয়সালের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় ফয়সালের বাড়িতে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার অকাল মৃত্যুতে পিআইআরএফ সভাপতি মো. আছাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজিজুর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম ও রেজাউল হক রেজা, যুগ্ম-সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান আজম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমানও ফয়সালের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
শোক বিবৃতিতে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার নেতারা বলেন, ফয়সালের অকাল মৃত্যুতে সংগঠন একজন সক্রিয় এবং একনিষ্ঠ কর্মীকে হারালো। যা পূরণ হওয়ার নয়। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত একজন সন্তানকে হারালো শরীয়তপুরবাসী।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ফয়সাল জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতা করলেও সব সময় তার হৃদয়ে থাকতো শরীয়তপুরের মাটি ও মানুষ। সংগঠনের জন্য তিনি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় ফয়সালের অকাল মৃত্যুতে শরীয়তপুরের মানুষ তার একজন কৃতি সন্তানকে হারালো।
প্রসঙ্গত সোমবার ইউএস-বাংলার বিমানটি ঢাকা থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করে। ওইদিন নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।