আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসছে শনিবার

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে অবশেষে ডানা মেলতে শুরু করেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নদীপথে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে স্প্যান। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, আগস্ট ২০১৭ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মোট ৪৬.৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে ৪২ টি পিলার থাকবে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। এ দুটি পিলারের উপর স্প্যান বসিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান করা হবে। পদ্মা সেতুর স্প্যান বুধবার মাওয়া থেকে জাজিরা এসে পৌঁছায়। স্প্যানটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার নিচের অংশ দিয়ে ট্রেন এবং উপরের অংশ দিয়ে সড়ক পথের যানবাহন চলাচল করবে। আর এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ জনসাধারণের জন্য খুলের দেয়া হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এযাবৎকালে দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২য় আরডিপিপি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত এই সেতুর ৪৬.৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর জাজিরা পয়েন্টের ৩৭ ও ৩৮ নং পিলারের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আগামী ৩০ তারিখ সকাল ১০টায় প্রথম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু জনগণের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।

সুত্রঃ বাসস