আজ মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ছাগলের দালাল থেকে কোটিপতি জাজিরার হুমায়ুন ঢালী!

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের অন্যতম সদস্য হুমায়ুন ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলার নিজ বাড়ি থেকে বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে এ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি এলাকার আব্দুল হক ঢালীর ছেলে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি পাঁচজনের নামে সদর মডেল মামলা করেন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়া। পরে শাহীন বেপারী (৫৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে হুমায়ুনসহ ২০ জনের একটি টিম গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এরই মধ্যে দালালদের তালিকা করে তাদের নাম প্রকাশও করা হয়েছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষকে বেকায়দায় ফেলে হাতিয়ে নেয় ক্ষতিপূরণের কোটি কোটি টাকা। প্রতারকচক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, ৫ বছর আগেও শরীয়তপুরের জাজিরার কাজির হাটসহ কয়েকটি হাটে ছাগল বিক্রির দালালির পাশাপাশি জমিতে ট্রাক্টর চালিয়ে হাল চাষ করতেন হুমায়ুন ঢালী। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হুমায়ুনের এক সময় নিজের ভিটেমাটি ছাড়া আর কোনও জমি ছিল না। গত ৫ বছরে তিনি হয়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। মাত্র কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া হুমায়ুন দৈনিক বাজার এলাকায় পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়ার দায়ের করা মামলায় আলী জামান, নজরুল খাঁ (৩৫), আক্তারুজ্জামান জামিনে রয়েছে। আর কাজী মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন গত ৫ বছর ধরে এলাকা ছাড়া।

কাজী নাসির উদ্দিনও রেস্টুরেন্টের ওয়েটার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাত্র কয়েক বছরে। গ্রামে রয়েছে আলিশান বাড়ি।