আজ মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

“আমরা বাঁচতে চাই, অনেক হারিয়েছি আর হারাতে চাই না”

২০১০ সালে থেকে ২০১৭ সাল। এই আট বছরে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি, কাঁচা-পাকা রাস্তা, বাজারসহ বহু পরিবারের বসতভিটা। প্রমত্তা পদ্মার করাল গ্রাসে সর্বশান্ত হয়ে আমরা এখন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সরকার পদ্মা নদী ভাঙ্গন রোধে বহুবার বিভিন্ন ধরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের সেই প্রতিশ্রুতি কেবল প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে। বাস্তবে তার প্রতি ফলন আজও ঘটেনি। প্রমত্তা পদ্মা আমার বাড়িকে তিন বার ভেঙ্গেছে। বিধায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী এখন একত্রিত হয়েছে। আমরা বাঁচতে চাই, অনেক হারিয়েছি, আর হারাতে চাই না। ৭ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়িয়া উপজেলা শহীদ মিনার চত্ত্বরে পদ্মা নদীর ছোবল থেকে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধ ও নদী শাষন প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্মুক্ত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা গুলো বললেন শরীয়তপুর জেলা বার কাউন্সিলের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ( গেরিলা আজাদ)।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবী জাজিরার বিলাসপুর থেকে নড়িয়ার সুরেশ্বর এলাকা পর্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে নদী শাষন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। তা না হলে পদ্মার ছোবল থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।

এডভোকেট আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে ও সাইদুল হক মুন্নার সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন  নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, হাজী শরীয়তু্ল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সোবহান, নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম (বাবু রাড়ি), নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাদশাহ শেখ, প্রচার সম্পাদক মিহির চক্রবর্তী, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএম মনির, নড়িয়া পৌরবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ জলিল শেখ, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার দেওয়ান ও ইমাম হোসেন দেওয়ান, সুরেশ্বর দরবার শরীফের মোতাওয়াল্লি শাহনূরে কামাল নূরী, নড়িয়া বার্তার নির্বাহী সম্পাদক সেকান্দার আলম রিন্টু, সাংবাদিক মফিজুর রহমান রিপন, কবিরুজ্জামান ও ইব্রাহিম হোসাইন  প্রমুখ।

এছাড়াও  নড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী এইচএম রুবেল, ওয়াসিম বন্দুকছি, সুমন বন্দুকছি সহ পদ্মা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।