
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের দায়ে আটক জেলেদের এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও দেড় মণ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোসাইহাট সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান প্রতিনিয়ত তার কার্য ক্ষেত্র থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকারের দেয়া সঠিক আইন প্রয়োগ করছেন। সেই সাথে যারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরছেন তাদের আটক করছেন।
রোববার ভোরে গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ও হিজলা এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল ও ইলিশসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দণ্ডিত করা হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াহ্ ইয়া খান আইন অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক জেলেকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। সেই সঙ্গে পুলিশের উপস্থিতিতে জব্দ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। আর দেড় মণ ইলিশ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াহ্ ইয়া খান বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ করতে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।